সাভারের হেমায়েতপুরে একটি তেলবাহী লরি উল্টে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ট্রাক চালক হেলাল ও হেলপার সাকিব মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারজনে।

সাকিব বরগুনা সদর উপজেলার মো. আবেদ আলীর ছেলে।

তার বড় ভাই মো. নাঈম বলেন, অভাবের সংসার। তাই চার মাস আগে তাকে কাজে দেয়া হয়। সে ট্রাকের হেলপারের কাজ করতো। আমি (নাঈম) পাইলিংয়ের কাজ করি। আর বাবা  খাগড়াছড়িতে অটোরিকশা চালান।

তিনি আরও বলেন, যতটুকু জেনেছি, তাদের ট্রাকে করে তরমুজ নিয়ে গাজীপুর কাঁচামালের আড়তে যাচ্ছিলো। ভোরে সংবাদ পাই সে আগুনে দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছে। পরে হাসপাতালে এসে দেখি তার গোটা শরীর পুড়ে গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার ভোর পৌনে ছয়টার দিকে সাভারের হেমায়েতপুরের জোরপুল এলাকায় একটি তেলের লরি উল্টে পাঁচ গাড়িতে আগুন ধরে হতাহতের এ ঘটনা ঘটেছে।

আগুনে মহাসড়কের ওপরেই পুড়ে নিহত হন ইকবাল নামে এক ট্রাক শ্রমিক। দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান আরও একজন। তার নাম মো. নজরুল (৪৫), বাড়ি ময়মনসিংহে। একই দিন রাত সাড়ে ৯টায় ট্রাক চালক হেলাল হাওলাদার মারা যান।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জোরপুল এলাকায় একটি তেলের লরি উল্টে আগুন ধরে যায়। তেল ছড়িয়ে পড়ায় মুহূর্তেই ভয়াবহ রূপ ধারণ করে আগুন।

এ সময় আশপাশে থাকা চারটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেটকার পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভায়।